@বন্ধু আমরা সবাই এক বুক আসা,অনুপ্রেরনা নিয়ে সহজ তথ্যমিত্র কেন্দ্রের VLE হিসাবে নিযুক্ত হয়েছি।শুরুতেই সবাই বঞ্চিত।প্রথাগত ভাবে আমাদের কোন প্রশিক্ষন দেয়নি। যে প্রশিক্ষন আগামি চলার পথে সহযোগী হতে পারে।আমরা VLEরা অনেকেই কম্পিউটার,সফ্টওয়ার,প্রিন্টার,ক্যামেরা,পরিষেবা সংক্রান্ত অনেক সমস্যায় পড়ি। চটজলদি সমাধান আমরা পাই না। এই ব্লগটি হতে পারেআপনার এসব সমস্যার সমাধান। আসা রাখি আপনি আপনার সমস্যাগুলোকে এখানে তুলে ধরে তার সমাধান নিতে আগ্রহী হবেন এবং বিস্তারিততথ্য দিয়ে এই ব্লগকে সমৃদ্ধ করে তুলবেন।

ল্যাপটপের পারফরমেন্সের ভাল রাখার কিছু নিয়ম

সহজের সিএসসি পরিচালনার জন্য আমাদের প্রত্যেককে দুটো করে ল্যাপটপ দেওয়া হয়। যেহেতু গ্রামের অধিকাংশ VLE

কম্পিউটারে অনঅভিজ্ঞ তাই ল্যাপটপগুলি পরিচালনার বিস্তারিত ট্রেনিং দেওয়া হয়।এই ল্যাপটপগুলি খুবই উন্নতমানের

(দামের দিক দিয়ে)তাই আমরা কিভাবে মেন্টেন্যান্স,যত্ন পরিচর্যা করবো সেই ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবে বিগত দু বছর ধরে বারে

বারে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। তা সত্যেও বেশির ভাগ মামুরা এবং নতুন মুরগিরা এসম্পর্কে অনেক কিছুই জানেন না। তাদের

জন্য আজ লিখছি ল্যাপটপের পারফরমেন্সের কি ভাবে ভাল রাখবেন ?

***ল্যাপটপের কখনোই শাট ডাউন না করে স্ট্যান্ড বাই বা হাইবারনেট করবেন না। প্রসেসর বা ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হলে বিশ্রাম দেবেন

ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত। অবশ্য কুলিং এবং ভেন্টিলেশন পদ্ধতী ব্যবহার করলে আপনি দীর্ঘ সময় নিশ্চিন্তে ল্যাপটপ চালু রাখাতে পারেন,সাট

ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশনও ইউজ করতে পারেন।

*** ল্যাপটপ ঘন ঘন চালু বা বন্ধ করবেন না। কারন এতে বিভিন্ন পার্টসের উপর আকস্মিক বৈদুতিক চাপ পড়ে যা ক্যাপাসিটর সহ আরো

অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের পার্টসের আয়ু কমিয়ে দেয়।

***ব্যাটারীতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।

***ভারী কাজ যেমন ভিডিও এডিটিং,অনবরত মোবাইলে ডাউনলোডিং ইত্যাদি ল্যাপটপে বেশীক্ষণ করবেন না।কারণ ল্যাপটপের হার্ড

-ডিস্ক ডেস্কটপের থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ।

***দরকারি ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ করে রাখুন

*** ল্যাপটপ খুবই সেনসেটিভ।সবাই একটু আলাদা চোখে দেখে।সেইজন্যই বলছি আলাদা একটু সতর্কও থাকা উচিত।এই যেমন আপনার

স্বাধ্যের ল্যাপটপটি যেনো কোন ভাবেই হাত থেকে পড়ে না যায় অথবা শক্ত কোন কিছুর সাথে যেনো ধাক্কা না লাগে । কেননা ল্যাপটপের

এলসিডি মনিটরটি খুবই সংবেদনশীল, অল্পতেই খুব বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
***
ল্যাপটপের মনিটরে প্রায়ই ধূলোবালি জমে সেইক্ষেত্রে শক্ত কোন কাপড় ব্যবহার না করে সূতিকাপড় দিয়ে মুছে দিতে পারেন।গ্লাস ক্লিনারও

ব্যবহার করতে পারেন।
***
ল্যাপটপের পিছনের দিক দিয়ে যে কুলিং ফ্যান বাতাস বের করে দিচ্ছে। চেক করে দেখেন সেটা কোন কিছু দ্বারা বাঁধা প্রাপ্ত হচ্ছে কিনা ।

এইক্ষেত্রে ল্যাপটপের নিচের দিক দিয়ে দেওয়ার জন্য আলাদা কুলিং এবং ভেন্টিলেশন ফ্যান পাবেন যা আপনার ল্যাপটপকে কুল রাখতে

সাহায্য করবে।

*** ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন
***
ল্যাপটপের উপর মাউস বা অন্য কিছু রেখে কখনো ঢাকনা বন্ধ করবেন না।

***সিডি/ডিভিডি রম থেকে মুভি-গান প্লে বেশী না করাই ভাল কারন অনেক বেশি পাওয়ার নেয়। মুভি-গান প্লে হার্ডডিস্ক থেকেই করুন।
*** চার্জ শেষ হওয়ার আগেই ল্যাপটপটি অফ করে দিন। তাতে ব্যাটারীর কার্যকারিতা অটুট থাকবে।

*** মাঝে মাঝে ব্যাটারীর কানেক্টর লাইন পরিস্কার করুন।

*** নতুন মুরগিরা ল্যাপটপ নিয়ে প্রথমে মিনিমাম ৮ ঘন্টা চার্জ দিন।

*** ব্যাটারী দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও ২/৩ সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারী থেকে চালাতে হবে, নতুবা ব্যাটারী আয়ু কমে যাবে।

*** সম্পুর্ণ চার্জহীন অবস্থায় অনেকদিন ল্যাপটপ ফেলে রাখবেন না। তাহলে ব্যাটারীর চিপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

*** সূর্যের আলো সরাসরি পড়ে এরকম জায়গায় ল্যাপটপ রাখবেন না।
***
ভালো এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন ।

*** অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।

*** আপাতত দরকার নেই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।

আজ এই পর্যন্তই পরবর্ত্তীতে ব্যাটারি খারাপ হলে কি ভাবে ব্যাটারী সেল টেস্ট করে সেল রিপ্লেস করবেন সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

পরিশেষে বলি এখানে যা লেখা হল তা সম্পুর্ন আমার ব্যাক্তিগত। তাই যদি আপনাদের কোন কাজে আসে তবে খুশী হব। আর যদি কারো ক্ষতি হয় তার জন্য কোন ভাবেই দায়ী থাকবো না

"আসুন ধরে তুলি নতুন দিনের বাংলা"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন